Posts

ভালবাসার গল্প - প্রাপ্তি

গল্পের নাম প্রাপ্তি পর্ব - ০২ তানিয়াকে বুকের আলিঙ্গন থেকে মুক্ত করে দুজনে বেঞ্চে বসে রইলাম, তানিয়াঃ এতদিন কোথায় ছিলে তুমি ? মিলনঃ গ্রামের বাড়ি গেছিলাম, গতকাল ঢাকায় এসেছি । তানিয়াঃ তা গ্রামের বাড়ি গিয়ে ভালোই করেছ ? মিলনঃ কি রকম ভালো করেছি ? তানিয়াঃ এই যে আগে আমার দিকে ফিরেও তাকাতে না, আর গ্রাম থেকে ফিরে এসেই জড়িয়ে চুমু দিলে। মিলনঃ তাই বুজি, তাহলে তো সত্যি ভালো হয়েছে গ্রামে গিয়ে, বলে আবার জড়িয়ে দরলাম। আজ আর ক্লাস করলাম না, হাটতে হাটতে চলে আসলাম কলেজের পাশে একটা পার্কে, পার্ক টা এখন অনেক নির্জন, দুপুর বেলা তাই হয়ত, দুজনে বসে গল্প করছিলাম, তানিয়া কে জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা তুমি আমাকে কেন ভালবাসলে, সেটা কিন্তু বলনি ? আর কেনইবা আমাকে তোমার পছন্দ ? তানিয়াঃ সত্যি বলতে প্রথম যেদিন তোমাকে দেখেছি, দেখে মনে হয়েছে তোমার ভিতরে একটা চাপা কষ্ট লুকিয়ে আছে, তারপর তোমার পিছনে আমি ঘুরেছি অনেক বার, তোমাকে ফলো করতাম সবসময়, কিন্তু তুমি কোনসময় ডানে-বায়ে তাকাতে না তাই আমাকে তোমার নজরে পড়েনি, তো,মার প্রতি একটা অন্য রকম টান অনুভব করতাম, মাঝে মাঝে মনে হত , মিলন আমি তোমার জন্যই এ পৃথীবিতে এ...

ভালবাসার গল্প - প্রাপ্তি

গল্পের নাম প্রাপ্তি পর্ব - ০১ রাত তখন আনুমানিক ১২টা হবে, একাকী নির্জন রাস্তা দিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে হেঁটে চলেছি আমি। আর আনমনে নিজের অতীত এর কথা ভাবছি। আমার নাম মিলন, গ্রাম থেকে কাজের উদ্দেশ্য এসেছি ঢাকা শহরে। মাদ্রাসায় পড়তাম আমি। কিন্তু বেশি পড়ালেখা করতে পারিনি অভাবের কারনে। বাবা মারা গেছেন অনেক আগেই যখন আমার বয়স ৭ বছর ছিল, আমি আর আমার বড় বোন আর মা এই তিন জন মিলেই আমাদের পরিবার ছিল। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আমাদের পরিবারে নেমে এল দূর্ভীক্ষ। অনাহারে, অর্ধ্বাহারে থাকতাম, মা আর বোন মিলে ইট ভাটায় কাজ করত, তখন আমি মাদ্রাসা ছেড়ে অন্যর জমিতে কাজ করতাম। আমার মা আর বোন হাড় ভাঙা খাটুনি করত ইটের ভাটায়। বোনের থেকে মায়ের কষ্ট হত বেশি, একে তো বয়স ছিল বেশি উনার, বেশি দিন আর কষ্ট করতে হয়নি তাকে, আমাদের দু ভাইবোন কে ছেড়ে তিনিও বাবার কাছে চলে গেলেন। মাঝে মাঝে ভাবি মা-বাবা কত স্বার্থপর, আমাদের দু ভাইবোন কে এভাবে একা ফেলে চলে গেছেন ওই দূর আকাশে। বাবা চলে যাওয়ার পড়ে মাও চলেগেলেন, দু ভাইবোনের কষ্টের সীমা ছিলনা। অন্যর জমিতে কাজ ছেড়ে একটি ওয়ার্কসপ এ কাজ করতে শুরু করলাম, গ্রামের ওয়ার্কসপ ছিল বলে ...

গল্প - অবশেষে ফিরে পাওয়া

২০০৮ এর কথা, আমি তখন ১০ম শ্রেনীতে পড়ি। তখন কোচিং ব্যবসার তেমন রমরমা বানিজ্য ছিল না বললেই চলে, হাতে গোনা কয়েকটা কোচিং ছিল, তবে তারা পড়াশুনার প্রতি অনেক কেয়ার ছিল, ছাত্র-ছাত্রীদের কে যথাযথ শিক্ষা দিত তারা। এমনি একটি কোচিং এ ভর্তী হলাম আমি। কোচিং করতে ভালই লাগত, কারন নতুন পরিবেশ, নতুন সহপাঠি, সব কিছু মিলিয়ে ভালোই লাগত। সেই ভাললাগাটাকে আরও মধুর করে দিতেই একদিন আমাদের কোচিং এ আমাদের ক্লাসে একটি মেয়ে এডমিশন নিল। যেমন সুন্দর দেখতে তেমনি মিষ্টি চেহারা, নামটাও ছিল ভারী মিষ্টি, ইতি। ইতি বাক্য টা আমরা সবাই চিঠির শেষে লিখে থাকি, এর মানে হচ্ছে সমাপ্তি,বা শেষ, আসলেই কি ইতি মানে শেষ। আমার কাছে মনে হয় ইতি মানে শুরু, আর এই ইতিকে দেখে আমার মনে হল, আমার নতুন জীবনের শুরু হল । ইতি ক্লাসে আসার পর থেকেই আমাদের ব্যাচের অনেকেই নিয়মিত ক্লাসে আসা শুরু করল, যারা প্রায় ক্লাসে অনিয়মিত ছিল। এটাই স্বাভাবিক, যেখানে মধু আছে সেখানে মৌমাছি তো থাকবেই। তবে এই মধু তো আর সবার ভাগ্য জোটেনা। আমার নাম নাইম, দেখতে একটু স্বাস্থবান ছিলাম, তাই অনেক মেয়েদের সাথে যেচে কথা বলতাম না, কারন মেয়েরা এমনিতেই ছেলেদের কে এড়ি...